বয়স চল্লিশের ঘরে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। এই বয়সে এসেও তরতাজা তরুণীর মতো চলাফেরা তার। অনেকাংশ তরুণীদের চলাফেরাকেও হার মানান তিনি। নিজকে অসম্ভব ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী। ভালোবাসেন নিজের মতো করে চলতেও। তবে শোবিজে তার এ চালচলন সবাইকে ভালোভাবে গ্রহণ করেন তা কিন্তু নয়।

তার শরীর, দেহের গড়ন, ত্বকের রং, চুল, চোখ নিয়ে নানা সময় নানা মন্তব্য শুনতে হয় তার। তবে এগুলো পাত্তা দেননা এই টালিউড অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। সেখানে স্বস্তিকা বলেন পেশার কারণে আমার শরীর সব সময়েই আমার কাছে আগ্রহের বিষয়।

 

আমার ত্বকের রঙ বা শরীরের গড়ন নিয়ে কখনওই চিন্তিত ছিলাম না, অসাধারণ কিছু পেয়েছি বলেও মনে করিনি। তবে লোকে নানা কথা বলেন। কেউ বলেন আমার শরীর ছিরিছাঁদহীন, কেউ বলেন কার্ভি, কেউ ভাবেন আমি চর্বির স্তূপ, কেউ আবার ভাবেন আমি আকর্ষণীয়।

সবাই কি ভাবছেন সেটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন স্বস্তিকা। নিজেকে একটি ফাঁকা পাত্র হিসেবে ভাবেন তিনি। স্বস্তিকার ভাষ্য, আমি নিজেকে দেখি একটা ফাঁকা পাত্র হিসেবে। চরিত্রে অভিনয় করার প্রয়োজনে কখনও ওজন বাড়াই, কখনও কমাই। বাঁধাধরা চেহারা কখনওই তো থাকে না। শুধু শরীর বা চেহারা নয়, স্বস্তিকা অকপট তার জীবনযাপন থেকে জীবনবোধ— সব নিয়েই।

 

তার নিজের ভাষায়, এক সময়ে জীবনরসে ভরপুর দিন কেটেছে। ইচ্ছেমতো খেয়েছি, আনন্দ করেছি। কিন্তু বয়স চল্লিশ ছুঁতেই আমি স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলাম। শরীরচর্চা শুরু করলাম। ফিটনেস ট্রেনার আমায় বলে যাচ্ছে, আর একটু, আর একটু। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মনে হল পারব না।

এক ইঞ্চি বদলাতে ১০০ বছর সময় নিয়ে ফেলব। প্রতি দিন কেঁদেছি। তবে হাল ছাড়িনি। আমার শরীরের যে জায়গাগুলোয় মায়ের আদর আঁকা ছিল, সেগুলো একটু একটু করে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মনে হয়, মা হয়তো খুশিই হবেন। কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমি এই সব কিছুই আমার নিজের জন্য করছি।